Skip to main content

Posts

Showing posts from May, 2020

Eid Calligraphy : a spiritual artistic discussion

ঈদ ক্যালিগ্রাফি : শিল্প আধ্যাত্মিকতার কথকতা - মোহাম্মদ আবদুর রহীম মুসলিমের জীবনে বছরে দুই ঈদ হচ্ছে ইবাদাত ও খুশির দিন। সবাই নিজের দীলের তামান্না সম্ভাষণ ও নিজের একান্ত পদ্ধতিতে আনন্দ প্রকাশ করে থাকেন। ক্যালিগ্রাফারগণ যুগ যুগ ধরে হাতের কারুকাজ ও আধ্যাত্মিকতার মিশ্রনে এই আনন্দ ও খুশি ক্যালিগ্রাফির মাধ্যমে  প্রকাশ করে আসছেন। বহুবছর আগে আমেরিকার বিখ্যাত ক্যালিগ্রাফার উস্তাদ মোহাম্মদ জাকারিয়ার সুলুস শৈলীর "ঈদ মোবারক" সে দেশের ডাক টিকিটে ছাপা হয়। বিষয়টি আমাকে খুব আলোড়িত করেছিল, সেটা ২০০১ সালের কথা। এর কয়েক বছর পর ফেসবুকে যখন ওয়ার্ল্ড ক্যালিগ্রাফারদের সাথে পরিচয় ও বন্ধুত্ব হওয়া শুরু হল, ঈদ শুভেচ্ছা জানানোর ক্যালিগ্রাফির শত শত কাজ আমাকে অভিভূত করেছে। এবার ঈদের ক্যালিগ্রাফি যতগুলো দেখেছি, দেশে তিনজন ও বিদেশের কয়েকজনের কাজ খুব ভাল লেগেছে। এসব কাজে শিল্প আধ্যাত্মিকতার বিষয়ে কয়েকটি কথা বলতে চাই। বাংলাদেশে রাজশাহীর ক্যালিগ্রাফার মোস্তফা আল মারুফ নাস্তালিকে যে কাজটি করেছেন ডিজিটাল পদ্ধতিতে এটা চমতকার হয়েছে। এখানে কম্পোজিশন আইডিয়াটা মনে দোলা দেয়। আর সুলুস জালিতে জুনায়েদ ক্য

Calligraphy and Poetry

ক্যালিগ্রাফি ও কবিতা - মোহাম্মদ আবদুর রহীম ------------------------ "ইন্না মিনাল বয়ানে লা সেহরা ওয়া ইন্না মিনাল কলমে লা শেয়রা" ------------------------ আরবদের বলা হয় স্বভাব কবি। আমাদের দেশেও লেখাপড়া জানে না কিন্তু সুন্দর মিলিয়ে ছন্দে জ্ঞানের কথা বলার লোক অনেক পাওয়া যায়। বিশেষ করে নদী তীরবর্তী এলাকায় বেশি দেখা যায়। প্রাচীন আরব প্রবাদে এজন্য বলা হয়, "কোনো কোনো বয়ানে রয়েছে যাদু আর কোনো কোনো ক্যালিগ্রাফিতে রয়েছে কবিতা।" আরব ক্যালিগ্রাফারদের অধিকাংশ ছিলেন একাধারে কবি, গদ্য লেখক, গ্রন্থকার, গবেষক ও পেইন্টার। উস্তাদ ইবনে মুকলার বহু গ্রন্থ ও রচনায় কবিতা আছে। আর ইবনে বাওয়াব তো ক্যালিগ্রাফি বিষয়ে একখানা চমৎকার কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছেন। অধিকাংশ ক্যালিগ্রাফার চিন্তাশীল ও অন্তর্মুখী মনোভাবের।  ফলে বাইরে থেকে ক্যালিগ্রাফারের ভেতরের কাব্য সমুদ্রের তরঙ্গমালার খোঁজ মেলে না। ক্যালিগ্রাফারদের মত পেইন্টার শিল্পীও কবি হয়ে থাকেন। কাব্যগ্রন্থ থাকলে তাকে কবি বলে চিনি। আমাদের সিনিয়র ক্যালিগ্রাফি শিল্পী ইব্রাহিম মন্ডলের কাব্যগ্রন্থ আছে এবং আরেক সিনিয়র ক্যালিগ্রাফি শিল্পী

Calligraphy in Holy Prophet sm. Periods

রাসুলুল্লাহর স. যুগে ক্যালিগ্রাফি শৈলী: -মোহাম্মদ আবদুর রহীম ক্যালিগ্রাফি সম্পর্কে  সবচেয়ে যে প্রশ্নটির সম্মুখিন আমরা হই, সেটা হলো রাসুলুল্লাহ স. এর সময় কোন শৈলিতে কুরআন লেখা হয়েছে? তার কি কোন নমুনা আছে? এর জবাব আমাদের ক্যালিগ্রাফি অঙ্গনে সবার কাছে তুলে ধরার জন্য এ আলোচনা। রাসুলুল্লাহ স. পবিত্র কুরআন লিপিবদ্ধ করার দায়িত্ব কয়েকজন সাহাবীকে দিয়েছিলেন।  চার খলিফাসহ  কুরাইশ ও আনসার সাহাবীদের প্রায় ৪৩ জন এই মহান দায়িত্ব পালন করেন। এদের মধ্যে যায়েদ বিন সাবিত রা. ছিলেন সচিব। রাসুল স.-এর নির্দেশে তিনি হিব্রু ভাষা শিখেছিলেন মাত্র ১৫ দিনে। ইহুদিদের সন্তানদের কুরআন শেখানোর দায়িত্ব তাকে দেয়া হয়। আরবি লিপি ইসলাম পূর্ব সময়ে প্রধানত দুই রীতিতে লেখা হত। এক. জাঝম দুই. মুসনাদ। খাত্তুল জাঝম হচ্ছে উত্তর আরবের থেকে আসা লিপি। আর মুসনাদ হচ্ছে দক্ষিণ আরব অর্থাত ইয়েমেন অঞ্চল  থেকে আসা লিপি। আরবরা শীত ও গ্রীষ্মে ইয়েমেন ও সিরিয়া বাণিজ্য কাফেলা নিয়ে যেত। ফলে হিসাব কিতাবের জন্য তাদের এই দুই লিপিতে লিখতে হত। তবে ইরাকের ফোরাত তীরবর্তী হিরা ও আম্বর নগরের লিপিই উত্তর আরবীয় লিপি হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে। ঐ

Arabic Calligraphy Composition

ক্যালিগ্রাফির কম্পোজিশন - মোহাম্মদ আবদুর রহীম   আমরা ক্যালিগ্রাফি করতে গেলে যে সমস্যাটার জন্য কাজটি মনমত হতে চায় না, সেটার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কম্পোজিশন বা সাজানো। পবিত্র কুরআন কপি করতে ও একে সর্বোচ্চ সৌন্দর্যের লেখনী দিয়ে প্রকাশ করতে গিয়ে ওস্তাদ ক্যালিগ্রাফারগণ কম্পোজিশন নীতিমালা ও সৌন্দর্যের সূত্র উদ্ভাবন করেছেন। আরবি ক্যালিগ্রাফিতে কম্পোজিশনকে বলে আল-তাকবিন(ব=ওয়াও)। যুগে যুগে কম্পোজিশনের নানান প্রকার উদ্ভাবিত হয়েছে। আমরা এখানে প্রধান কয়েকটি কম্পোজিশনের কথা বলবো। এক. আল-তাকবিন বিল হুরুফ। ক্যালিগ্রাফির হরফগুলোর বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ক্যালিগ্রাফিকে সাজানো। দুই.  আল-তাকবিন বিল তারকিব। তারকিব অর্থও সাজানো। এখানে একটি হরফ তার অবস্থানগত বৈশিষ্ট্য অনুসারে ছোট-বড়, স্ট্রোকের কারিগরি দিক খেয়াল রেখে সাজানো। তিন. আল-তাকবিন বিল জুমাল। বাক্যের প্রকৃতি ও ভেতরের শব্দগুলোর গঠন লক্ষ্য করে সাজানো। চার. আল-তাকবিন বিল মায়ানি। ক্যালিগ্রাফির মর্মার্থ অনুযায়ী সাজানো। পাঁচ. আল-তাকবিন বিল তাসালসুল। একই ধরণের স্ট্রোক রিপিট করে সাজানো। ছয়. আল-তাকবিন বিল শেকল। বিভিন্ন শেইপে সাজানো। যেমন- বা

Proportion in Arabic Calligraphy ক্যালিগ্রাফির খত আল-মানসুব

ক্যালিগ্রাফির খত আল-মানসুব ইবনে মুকলা(মৃ.৯৪০ই.) স্বীয় পিতা ও সমসাময়িক বিখ্যাত উস্তাদগণের কাছে ক্যালিগ্রাফি শিখে যখন কর্মজীবনে প্রবেশ করলেন; মন্ত্রীত্বের মত প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেও ক্যালিগ্রাফিকে তিনি যুগান্তকরী পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।  তিনি সত্যিকার অর্থে ক্যালিগ্রাফির ভিত্তিকে এতটাই মজবুত করে গিয়েছেন যে, তাঁর পরবর্তীদের জন্য ক্যালিগ্রাফির ইমারত গড়তে নতুন কোনো ভিত্তির প্রয়োজন পড়ে নাই। তাহলে ক্যালিগ্রাফির সেই অবিস্মরণীয় ভিত্তি কি ছিল! সেটার নাম- খত আল মানসুব। আমরা সারা বিশ্বে সুলুস শৈলীর অসাধারণ সব শিল্পকর্ম দেখি এবং ক্যালিগ্রাফির সিংহভাগই হচ্ছে সুলুস শৈলীর কাজ। আর সুলুস শৈলীর জন্য সব কৃতিত্বই দেয়া হয় ইবনে মুকলাকে। কেন!!! কারন খত আল-মানসুব। আমরা ক্যালিগ্রাফির ইতিহাসের কিতাবগুলোতে দেখতে পাই সুলুস শৈলী উদ্ভাবন হয়েছে ইবনে সায়িগের হাতে। অথচ তিনি ইতিহাসে প্রায় বিস্মৃত। মজার বিষয় হলো, সুলুস শৈলীটি ইবনে মুকলার হাতে আসার আগে এর একটা লম্বা সফরনামা আছে। সেটার বয়ান অন্য একদিন হবে ইনশাআল্লাহ।  তবে সংক্ষেপে এটার কথা বলা যায়, আমরা যে দৈনন্দিন লেখার কাজে বলপয়েন্ট কলম ব

Calligraphy style in Prophet sm. time

রাসুলুল্লাহর স. যুগে ক্যালিগ্রাফি শৈলী -মোহাম্মদ আবদুর রহীম   ক্যালিগ্রাফি সম্পর্কে  সবচেয়ে যে প্রশ্নটির সম্মুখিন আমরা হই, সেটা হলো রাসুলুল্লাহ স. এর সময় কোন শৈলিতে কুরআন লেখা হয়েছে? তার কি কোন নমুনা আছে? এর জবাব আমাদের ক্যালিগ্রাফি অঙ্গনে সবার কাছে তুলে ধরার জন্য এ আলোচনা। রাসুলুল্লাহ স. পবিত্র কুরআন লিপিবদ্ধ করার দায়িত্ব কয়েকজন সাহাবীকে দিয়েছিলেন।  চার খলিফাসহ  কুরাইশ ও আনসার সাহাবীদের প্রায় ৪৩ জন এই মহান দায়িত্ব পালন করেন। এদের মধ্যে যায়েদ বিন সাবিত রা. ছিলেন সচিব। রাসুল স.-এর নির্দেশে তিনি হিব্রু ভাষা শিখেছিলেন মাত্র ১৫ দিনে। ইহুদিদের সন্তানদের কুরআন শেখানোর দায়িত্ব তাকে দেয়া হয়। আরবি লিপি ইসলাম পূর্ব সময়ে প্রধানত দুই রীতিতে লেখা হত। এক. জাঝম দুই. মুসনাদ। খাত্তুল জাঝম হচ্ছে উত্তর আরবের থেকে আসা লিপি। আর মুসনাদ হচ্ছে দক্ষিণ আরব অর্থাত ইয়েমেন অঞ্চল  থেকে আসা লিপি। আরবরা শীত ও গ্রীষ্মে ইয়েমেন ও সিরিয়া বাণিজ্য কাফেলা নিয়ে যেত। ফলে হিসাব কিতাবের জন্য তাদের এই দুই লিপিতে লিখতে হত। তবে ইরাকের ফোরাত তীরবর্তী হিরা ও আম্বর নগরের লিপিই উত্তর আরবীয় লিপি হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে।

Calligraphy in the modern world দেশে দেশে ক্যালিগ্রাফি

দেশে দেশে ক্যালিগ্রাফির একাডেমিক লেভেল ও বইপত্র (-১-) ক্যালিগ্রাফিতে যারা গভীরভাবে চর্চা ও পড়াশুনা করতে চান, তাদের জন্য কাজে লাগতে পারে মনে করে বিষয়টি একটা সিরিজ আকারে দেয়ার ইরাদা করেছি। আজকে পাকিস্তানের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিল্পকলার প্রথম পাঠ, যাকে বুনিয়াদী নেসাবি কিতাব হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। বইটির দশ নং অধ্যায়ে গ্রাফিক ডিজাইনের সাথে ক্যালিগ্রাফি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কিতাবটির নাম- আর্ট কে মুখতালেফ পাহলো। এতে পাকিস্তানের শিল্পকলার বিভিন্ন বিষয়ে সংক্ষেপে সুন্দর আলোচনা আছে। শিল্পকলায় গ্রাফিক ডিজাইনের সাথে টাইপ সাজি(টাইপোগ্রাফি) যেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়,  হুুরুফ সাজি(ক্যালিগ্রাফি)ও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ।  তবে গ্রাফিক ডিজাইনের ক্যালিগ্রাফি(হুরুফ সাজি) আর ঐতিহ্যবাহী ওরিয়েন্টাল ক্যালিগ্রাফি(খতাতি) আলাদা বিষয়। পাকিস্তানে ওরিয়েন্টাল ক্যালিগ্রাফি(খতাতি) এখন ক্যালিগ্রাফি কলম দিয়ে করার সাথে পেইন্টিং বিভাগে বিস্তার লাভ করেছে। আর গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগে ক্যালিগ্রাফি নতুন মাত্রা লাভ করে শিল্পী সাদেকীন ও শিল্পী শাকের আলীর হাত ধরে। অন্যদিকে শিল্পী ইসমাইল গুলজী ফ্লাট ব্র