ক্যালিগ্রাফির শৈলী : খত সুম্বুলী
-মোহাম্মদ আবদুর রহীম
বাংলাদেশে ক্যালিগ্রাফি চর্চা দিন দিন শৈলী ভিত্তিক হয়ে উঠছে। সুলুস শৈলীতে অধিকাংশ কাজ করা হলেও অন্যান্য শৈলী এখানে চর্চা হচ্ছে ভিন্ন স্বাদ আস্বাদনের জন্য।
সুন্বুল বা সুম্বুল হচ্ছে তুরস্কের একটি সুফি ধারার নাম। তাওকি বা সিগনেচার দেয়ার জন্য তাওকি শৈলীতে আলাদা একটা ফ্লেবার আনতে চেষ্টা করেন উস্তাদ আরেফ হিকমত। তিনি ছিলেন ইস্তাম্বুলের সুন্বুল সুফি ধারার অনুসারী বিখ্যাত একজন ক্যালিগ্রাফার। তিনি দিওয়ানী শৈলী থেকে আলাদা করে যে শৈলীটি উদ্ভাবন করেন, ১৯১৪ সালে সেটি খত সুন্বুলী নামে পরিচিতি লাভ করে। পরে বিখ্যাত তুর্কি ক্যালিগ্রাফারগন একে আন্তর্জাতিকতা এনে দেন।
একটি কথা না বললেই নয়, শৈলিভিত্তিক ক্যালিগ্রাফিতে নতুন কোন শৈলী বানাতে হলে কিছু নিয়মবিধি অনুসরণ করতে হয়। সেটা হলো, নতুন শৈলীটির একটা মুফরাদাত, মুরাক্কাবাত ও কালিমাত তৈরি করে উস্তাদ ক্যালিগ্রাফারদের কাছ থেকে ইযাজা অর্জন করতে হয়। এছাড়া যিনি নতুন শৈলী করবেন তাকে নিজেও কমন সনদ বা ক্যালিগ্রাফির ইকাজেট বা সার্টিফিকেটধারী হতে হয়।
আধুনিক কালে গ্রাফিতি আর্টের বিখ্যাত আর্টিস্ট ও ক্যালিগ্রাফার মরক্কোর এল সাঈদীর প্রধান কাজগুলো সুন্বুল শৈলীতে করা৷ এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের উইস্সাম শাওকাত সুম্বুল শৈলিকে নিজের মত করে তৈরি করেন, একে তিনি শাওকাতি শৈলী নাম দেন।
বাংলাদেশে তরুন আর্টিস্ট ও ক্যালিগ্রাফি শিল্পী তোয়াসিন ত্বহা (Twasin Arafat Twaha) সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পুরস্কার অর্জন করেন। তার কাজটি সুন্বুল শৈলীর হুরুফিয়া স্টাইলে করা ছিল।
জুম অনলাইন ক্যালিগ্রাফি কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য এই শৈলীর একটি মুফরাদাত তৈরি করা হয়েছে। যারা খত সুম্বুলে কাজ করতে চান, আশা করি এটা তাদের উপকারে আসবে।
মোহাম্মদ আবদুর রহীম সুম্বুল শৈলীতে ঈদ আদহা মুবারক লিখেছে।
-মোহাম্মদ আবদুর রহীম
বাংলাদেশে ক্যালিগ্রাফি চর্চা দিন দিন শৈলী ভিত্তিক হয়ে উঠছে। সুলুস শৈলীতে অধিকাংশ কাজ করা হলেও অন্যান্য শৈলী এখানে চর্চা হচ্ছে ভিন্ন স্বাদ আস্বাদনের জন্য।
সুন্বুল বা সুম্বুল হচ্ছে তুরস্কের একটি সুফি ধারার নাম। তাওকি বা সিগনেচার দেয়ার জন্য তাওকি শৈলীতে আলাদা একটা ফ্লেবার আনতে চেষ্টা করেন উস্তাদ আরেফ হিকমত। তিনি ছিলেন ইস্তাম্বুলের সুন্বুল সুফি ধারার অনুসারী বিখ্যাত একজন ক্যালিগ্রাফার। তিনি দিওয়ানী শৈলী থেকে আলাদা করে যে শৈলীটি উদ্ভাবন করেন, ১৯১৪ সালে সেটি খত সুন্বুলী নামে পরিচিতি লাভ করে। পরে বিখ্যাত তুর্কি ক্যালিগ্রাফারগন একে আন্তর্জাতিকতা এনে দেন।
একটি কথা না বললেই নয়, শৈলিভিত্তিক ক্যালিগ্রাফিতে নতুন কোন শৈলী বানাতে হলে কিছু নিয়মবিধি অনুসরণ করতে হয়। সেটা হলো, নতুন শৈলীটির একটা মুফরাদাত, মুরাক্কাবাত ও কালিমাত তৈরি করে উস্তাদ ক্যালিগ্রাফারদের কাছ থেকে ইযাজা অর্জন করতে হয়। এছাড়া যিনি নতুন শৈলী করবেন তাকে নিজেও কমন সনদ বা ক্যালিগ্রাফির ইকাজেট বা সার্টিফিকেটধারী হতে হয়।
আধুনিক কালে গ্রাফিতি আর্টের বিখ্যাত আর্টিস্ট ও ক্যালিগ্রাফার মরক্কোর এল সাঈদীর প্রধান কাজগুলো সুন্বুল শৈলীতে করা৷ এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের উইস্সাম শাওকাত সুম্বুল শৈলিকে নিজের মত করে তৈরি করেন, একে তিনি শাওকাতি শৈলী নাম দেন।
বাংলাদেশে তরুন আর্টিস্ট ও ক্যালিগ্রাফি শিল্পী তোয়াসিন ত্বহা (Twasin Arafat Twaha) সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পুরস্কার অর্জন করেন। তার কাজটি সুন্বুল শৈলীর হুরুফিয়া স্টাইলে করা ছিল।
জুম অনলাইন ক্যালিগ্রাফি কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য এই শৈলীর একটি মুফরাদাত তৈরি করা হয়েছে। যারা খত সুম্বুলে কাজ করতে চান, আশা করি এটা তাদের উপকারে আসবে।
মোহাম্মদ আবদুর রহীম সুম্বুল শৈলীতে ঈদ আদহা মুবারক লিখেছে।
দোহা আন্তর্জাতিক যুব ভিজ্যুয়াল আর্ট প্রতিযোগিতায় তৃতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সুম্বুল শৈলীর কাজটি করেছেন বাংলাদেশের ত্বোয়াসিন ত্বহা |
Comments
Post a Comment