Skip to main content

কিয়াসাতুল খত্ Kiasatul Khatt

By Mohammad Abdur Rahim Ustad, Bangladesh Calligraphy Institute, Dhaka আমরা যারা ক্যালিগ্রাফি করি, আমাদের অধিকাংশ ভাললাগা এবং ভালবাসার কারণে ক্যালিগ্রাফি করি। অনেকে খুব সহজে কিভাবে ক্যালিগ্রাফি করা যায় এবং কত অল্প সময়ে ক্যালিগ্রাফি করা যায় সেটা শেখানো এবং শেখার জন্য উপায় খুঁজে থাকি। যে কোন শিল্পশিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ আছে আর অন্যদিকে সেটা কপি করা বা নকল করার বিদ্যাও আছে। নকল করা কিন্তু সব সময় খারাপ বা অবৈধ নয়, যদি বিধি মোতাবেক নকল করা হয় তা একজন শিক্ষার্থীকে দ্রুত মানসম্পন্ন পর্যায়ে উন্নীত হতে সাহায্য করে। কিন্তু নকল কাজকে আসল এবং নিজের বলে চালানো কিংবা বিধি মোতাবেক না হয়, তাহলে ক্যালিগ্রাফার হওয়া প্রায় অসম্ভব। এজন্য ক্যালিগ্রাফির প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন। আজকে আমরা কিয়াসাতুল খত নিয়ে কথা বলবো। কিয়াসাতুল খত মানে ক্যালিগ্রাফির মাপঝোক। একটা হরফ লিখতে বা একটা কম্পোজিশন করতে যেসব নীতিমালা রয়েছে তা কিয়াসাতুল খত্ এর অন্তর্ভুক্ত। প্রাথমিক পর্যায়ে কিয়াতুল খত্ মিজানুল খত্ দিয়ে শুরু হয়। একটা হরফ লিখতে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সেটা কত নোকতা হবে তা দেখানো হয়। এরপর হরফে হরফে গ্যাপ লাইনে লাইনে কতটুকু ফাকা থাকবে তা মিজানুল খত্ শিক্ষায় জানা যায়। ছবি- কিয়াসাতুল খত্ দাল হরফের মিজান দেখানো হল। 18 January 2022

Comments

Popular posts from this blog

বাংলা ক্যালিগ্রাফি : অনুভব ও শৈলী

-মোহাম্মদ আবদুর রহীম মানুষ জীবনযাপনে বাহ্যিক প্রয়োজন পূরণের পরও মানসিক আনন্দলাভ বা আত্মপিয়াস মেটাতে কিছু দেখতে, শুনতে কিংবা ছুয়ে দেখতে চায়। তার সংস্কৃতির মধ্যে নিজকে প্রকাশ করতে কিংবা সৃজনশীল কিছু করে আনন্দ পেতে চায় এবং অন্যকে আনন্দ দিতে তার ইচ্ছে জাগে। সুতরাং বলা যায়, কোন জাতির সংস্কৃতির মধ্যে যে সৃজনশীল ও প্রতিভার পরিচয় আমরা দেখতে পাই, সেটাই শিল্পকলা।শিল্পকলার অতি প্রাচীন একটি শাখা হচ্ছে ক্যালিগ্রাফি।ক্যালিগ্রাফি শব্দটা ইংরেজি । এটা গ্রীক শব্দ ক্যালিগ্রাফিয়া থেকে এসেছে । গ্রীক শব্দ ক্যালোস এবং গ্রাফেইনের মিলিত রূপ ক্যালিগ্রাফিয়া । ক্যালোস = সুন্দর , আর গ্রাফেইন = লেখা । সুতরাং   ক্যালিগ্রাফির পরিচয় এভাবে দেয়া যেতে পারে -   হরফ বা টেকসট ব্যবহার করে চমৎকার লেখন শিল্পকে ক্যালিগ্রাফি বলে । বর্তমানে , এই আর্ট ফর্মকে বিভিন্ন দেশ , ভাষা এবং ধর্মের লোকেরা আনন্দচিত্তে গ্রহণ এবং চর্চা করে চলেছেন । পৃথিবীতে বিভিন্ন ভাষার হরফে ক্যালিগ্রাফি করা হয়েছে। আরবি, ইংরেজি, চীনা, জাপানী প্রভৃতি ভাষার হরফের ক্যালিগ্রাফি মানুষকে মোহিত ও আনন্দিত

বাংলা ভূখন্ডে ক্যালিগ্রাফির পদযাত্রায় শিলালিপির ভূমিকা

Muhaqqaq style -মোহাম্মদ আবদুর রহীম ক্যালিগ্রাফিকে শুধুমাত্র 'হাতের লেখা' বলে পরিচয় দিলে অসম্পূর্ণ থেকে যায় এর অর্থ। 'সুন্দর হাতের লেখা' বললে আক্ষরিক অর্থ বলা হয়। আরব সিভিলাইজেশন প্রবন্ধে বলা হয়েছে- আরবি লিপিকলা প্রবহমান নকশা এবং জটিল জ্যামিতিক ডিজাইনের সমন্বয়। এই নান্দনিক লিপিকলা সম্পর্কে আলেকজান্দ্রিয়ার দার্শনিক ও গণিতের জনক ইউক্লিদ বলেন, "একটি 'আধ্যাত্মিক কৌশল' হিসেবে ক্যালিগ্রাফিকে গত ১৩শত বছর ধরে আরবদের কলম শুধু বিশুদ্ধ এবং সমৃদ্ধ করেছে।" আসলে ক্যালিগ্রাফি হচ্ছে লিপিকলা বা লিপি দিয়ে যে শিল্পকর্ম করা হয়। বাংলা ভূখন্ডে প্রাচীন কাল থেকে যারা শাসন করেছেন, তারা সুবিধামত একটি ভাষাকে রাজভাষা করেছেন এবং নথিপত্রে তা ব্যবহার করেছেন, জনসাধারণের সাথে সংযোগের ক্ষেত্রে এভাষায় জনহীতকর কাজের পরিচিতি ফলক বানিয়েছেন। প্রাচীনকাল থেকে এ অঞ্চলে পাথরে, তাম্র ফলকে এর নিদর্শন দেখা যায়। কাগজ বা টেকসইবিহীন মাধ্যমে এই নিদর্শন পাওয়া দুষ্কর। একটা মজার বিষয় হচ্ছে, ক্যালিগ্রাফির সত্যিকার পদযাত্রা নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে প্রাচীন নিদর্শন খুজতে গিয়ে ১২০৬ সালে (১

Sulus Lipisaili (khatt al-sulus) PDF book

   Sulus Lipisaili book PDF