বাংলাদেশে ক্যালিগ্রাফি অনেকদূর এগিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, তিনি বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছেন। আমরা যারা ক্যালিগ্রাফি ভালবাসি, এসব কথাবার্তায় আনন্দিত ও আশার আলো দেখি। আর খোঁজ নিতে থাকি আসলে আমাদের ক্যালিগ্রাফি কতদূর এগিয়ে গেলো। তবে আশার কথা হল ক্যালিগ্রাফি চর্চা ও শিক্ষা এখানে সঠিক পথে এগিয়ে চলছে। অন্তত যারা চর্চা করছেন এশিল্পটির প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়ে তাদের আগ্রহ বাড়ছে আর দিন দিন ক্যালিগ্রাফার(অবশ্যই কলমুল খত দিয়ে বিধি মোতাবেক লেখার যোগ্যতা সম্পন্ন) তৈরি হচ্ছে। আর যারা কপি কাজ করে ক্যালিগ্রাফার পরিচয় দিচ্ছেন, আলহামদুলিল্লাহ! শিল্পের প্রয়োজনে তারাও শিল্পী ক্যালিগ্রাফার হয়ে উঠবেন আশা করা যায়। ক্যালিগ্রাফি সাধনার বিষয়। ইতকান ও ফিকরার বিষয়। এ শিল্পকলায় মহান ও ঐতিহ্যবাহী ধারা রয়েছে। আমাদেরকে সেই আলোয় অবগাহন করে ক্যালিগ্রাফিকে সামনে নিয়ে যেতে হবে।
ক্যালিগ্রাফির রয়েছে অসাধারণ গোপন বিষয় যা জানা প্রয়োজন এবং সে আলোকে চর্চা করতে হবে।
আজকে আমরা সুলুস শৈলীর হা হাউয়াজ নিয়ে কথা বলবো। আরবি হরফের ক্রম প্রাচীন কালে আবজাদিয়া বা স্থানমান অনুযায়ী ছিল। যেমন আলিফ=১, বা=২, জিম=৩, দাল=৪ ইত্যাদি। এখান থেকে একে আবজাদিয়া বলে। এই আবজাদিয়ায় হা-হুত্তি এবং হা-হাউয়াজ নামে দুটো হা আছে। আজকে আমরা হা-হাউয়াজ হরফ সুলুস শৈলীতে মুফরাদাত(একক) ও মুরাক্কাবাত(যৌগিক) ফর্মে কেমন থাকে আর সেগুলোর নাম সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোচনা করবো।
সুলুস শৈলী হলো সবচেয়ে বনেদি ক্যালিগ্রাফি স্টাইল। একে ক্যালিগ্রাফির বাদশাহ বা ক্যালিগ্রাফির জননী হিসেবে অবিহিত করা হয়। এই শৈলীতে হা-হাউয়াজ হরফটি মুফরাদাত(ইন্ডিভিজুয়াল ফর্ম) দুটি আছে। যেমন- হা মুসাল্লাস, হা-আইন হের্রাহ। আর মুরাক্কাবাত(জয়েন্ট ফর্ম) মুদগামাহ, মুসাল্লাস, আইন হের্রাহ, উজুন ফারাস, রাদেফা ইত্যাদি। শব্দের প্রথমে, মাঝে এবং শেষে কোন ধরণের হা-হাউয়াজ বসবে এবং এর বিস্তারিত জানতে একজন ক্যালিগ্রাফির ওস্তাদকে জিজ্ঞেস করবেন। আর যারা ক্যালিগ্রাফি শিখতে আগ্রহী, তারা বাংলাদেশ ক্যালিগ্রাফি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে পারেন।
ইনস্টিটিউটের ৬ষ্ট ব্যাচে ভর্তি চলছে। যোগাযোগ- ০১৮১৯৬৭৬০২৭
ছবি- ওস্তাদ হিজাবের ওয়াল থেকে সংগৃহীত।
19 January 2022
Comments
Post a Comment