ক্যালিগ্রাফির তৌহিদ দর্শন
কোন এক বয়ানে পড়েছিলাম, আল্লাহ এবং তাঁর গুনবাচক নামের কোন নির্দিষ্ট আকৃতি কল্পনা করা যায় না। পবিত্র কুরআনের ৪২নং সুরার ১১নং আয়াতে একথা স্পষ্ট করে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, "তাঁর মত কিছু নেই। " সুতরাং দৃশ্যকলায় স্রষ্টার কোন আকৃতি কল্পনার সুযোগ দেয়া হয় নাই। আর কেউ যদি এটা করে, তাহলে মহা গর্হিত কাজ করল। অসীমকে সীমায় নামিয়ে আনল। আর সেটাকে সবচেয়ে বড় জুলুম বলা হয়েছে, যে পাপের ক্ষমা নেই। এই পরিস্থিতিতে সম্পুর্ন এক নতুন শিল্পকলার জন্ম হল। যাতে প্রানী আকৃতি গড়ন বা অঙ্কন নিষিদ্ধ করা হল। এই বিশ্বাসের শিল্পীরা কিন্তু থেমে গেলেন না, তারা প্রানী আকৃতি বিহীন এক শিল্পকলা নিয়ে এলেন। সেখানে তারা গাছ আঁকলেন, ফুল-পাতা-লতা আঁকলেন, তবে তা জগতের কোন গাছ-ফুল-লতা-পাতার নির্দিষ্ট পরিচয় বহন করে না। সেটা হলো এগুলোর মোটিফ। অনুরূপ যেই বিশাল প্রাসাদ মানুষের গৌরব শান শওকত জৌলুস প্রকাশ করে, তার ভেতর বাহির খোল-নলচে বদলে এক নতুন ধরনের স্থাপত্য এলো এই বিশ্বাসী শিল্পীদের হাত ধরে, যেটা একমাত্র স্রষ্টার মহিমা প্রকাশ করবে, মানব সত্ত্বাকে মহাশক্তি আল্লাহর সমীপে সমর্পন করবে। এর নাম হল মসজিদ স্থাপত্য। যা পৃথিবীর সব স্থাপত্য থেকে আলাদা। আর দৃশ্যমান শিল্পকলায় এলো অসীমের অনুভব জাগানিয়া নক্সাকলা ও ক্যালিগ্রাফি। আমরা তাতে পৃথিবীর কোন নির্দিষ্ট আকৃতির কিছু দেখতে পাই না। এই যে শিল্পকলা, সেটার মূল দর্শন হল, "লাইসা কা মিসলিহি শাইয়ুন।"
হ্যাপি ক্যালিগ্রাফি লারনিং!
ক্যালিগ্রাফি- ক্লাস ওয়ার্ক।
-মোহাম্মদ আবদুর রহীম মানুষ জীবনযাপনে বাহ্যিক প্রয়োজন পূরণের পরও মানসিক আনন্দলাভ বা আত্মপিয়াস মেটাতে কিছু দেখতে, শুনতে কিংবা ছুয়ে দেখতে চায়। তার সংস্কৃতির মধ্যে নিজকে প্রকাশ করতে কিংবা সৃজনশীল কিছু করে আনন্দ পেতে চায় এবং অন্যকে আনন্দ দিতে তার ইচ্ছে জাগে। সুতরাং বলা যায়, কোন জাতির সংস্কৃতির মধ্যে যে সৃজনশীল ও প্রতিভার পরিচয় আমরা দেখতে পাই, সেটাই শিল্পকলা।শিল্পকলার অতি প্রাচীন একটি শাখা হচ্ছে ক্যালিগ্রাফি।ক্যালিগ্রাফি শব্দটা ইংরেজি । এটা গ্রীক শব্দ ক্যালিগ্রাফিয়া থেকে এসেছে । গ্রীক শব্দ ক্যালোস এবং গ্রাফেইনের মিলিত রূপ ক্যালিগ্রাফিয়া । ক্যালোস = সুন্দর , আর গ্রাফেইন = লেখা । সুতরাং ক্যালিগ্রাফির পরিচয় এভাবে দেয়া যেতে পারে - হরফ বা টেকসট ব্যবহার করে চমৎকার লেখন শিল্পকে ক্যালিগ্রাফি বলে । বর্তমানে , এই আর্ট ফর্মকে বিভিন্ন দেশ , ভাষা এবং ধর্মের লোকেরা আনন্দচিত্তে গ্রহণ এবং চর্চা করে চলেছেন । পৃথিবীতে বিভিন্ন ভাষার হরফে ক্যালিগ্রাফি করা হয়েছে। আরবি, ইংরেজি, চীনা, জাপানী প্রভৃতি ভাষার হরফের ক্যালিগ্রাফি মানুষকে মোহিত ও আনন্দিত
Comments
Post a Comment