ক্যালিগ্রাফির তৌহিদ দর্শন কোন এক বয়ানে পড়েছিলাম, আল্লাহ এবং তাঁর গুনবাচক নামের কোন নির্দিষ্ট আকৃতি কল্পনা করা যায় না। পবিত্র কুরআনের ৪২নং সুরার ১১নং আয়াতে একথা স্পষ্ট করে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, "তাঁর মত কিছু নেই। " সুতরাং দৃশ্যকলায় স্রষ্টার কোন আকৃতি কল্পনার সুযোগ দেয়া হয় নাই। আর কেউ যদি এটা করে, তাহলে মহা গর্হিত কাজ করল। অসীমকে সীমায় নামিয়ে আনল। আর সেটাকে সবচেয়ে বড় জুলুম বলা হয়েছে, যে পাপের ক্ষমা নেই। এই পরিস্থিতিতে সম্পুর্ন এক নতুন শিল্পকলার জন্ম হল। যাতে প্রানী আকৃতি গড়ন বা অঙ্কন নিষিদ্ধ করা হল। এই বিশ্বাসের শিল্পীরা কিন্তু থেমে গেলেন না, তারা প্রানী আকৃতি বিহীন এক শিল্পকলা নিয়ে এলেন। সেখানে তারা গাছ আঁকলেন, ফুল-পাতা-লতা আঁকলেন, তবে তা জগতের কোন গাছ-ফুল-লতা-পাতার নির্দিষ্ট পরিচয় বহন করে না। সেটা হলো এগুলোর মোটিফ। অনুরূপ যেই বিশাল প্রাসাদ মানুষের গৌরব শান শওকত জৌলুস প্রকাশ করে, তার ভেতর বাহির খোল-নলচে বদলে এক নতুন ধরনের স্থাপত্য এলো এই বিশ্বাসী শিল্পীদের হাত ধরে, যেটা একমাত্র স্রষ্টার মহিমা প্রকাশ করবে, মানব সত্ত্বাকে মহাশক্তি আল্লাহর সমীপে সমর্পন করবে। এর নাম হল মসজিদ স