Skip to main content

মহানবীর (স.) সময়কার লেখা কুরআনের সন্ধান ও প্রসঙ্গ কথা


নমুনা-১
মোহাম্মদ আবদুর রহীম

 সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মহানবীর (স.) সময়কার লেখা কুরআনের সন্ধান বিষয়ক খবর ও ছবি ছাপা হয়েছে। বইপত্র ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য সহজলভ্য ও যাচাইয়ের সুযোগ হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সঠিক তথ্য বের করার সুযোগ হয়েছে। প্রকাশিত খবরটি সঠিক কিন্তু ছবিটি সঠিক নয়।

দৈনিক সংগ্রাম ও আরটিএনএন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ছবিটি তুরস্কভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ড বুলেটিনের বরাত দিয়ে ছেপেছে।
স্ক্রিনশট-১
 ঐ সাইটটিতেও একই ছবি আছে।(স্ক্রিনশট-১) অন্যদিকে সময়ের কন্ঠস্বরসহ কয়েকটি সাইটে প্রকাশিত নিউজের সূত্র ওয়ার্ল্ড বুলেটিন দিলেও ভিন্ন ছবি ছেপেছে।(স্ক্রিনশট-২)
স্ক্রিনশট-২
 প্রকাশিত এই দুটি ছবি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এগুলো কুরআনের পাতা ও লিপির ভেতর জের-জবর-পেশ নোকতা ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ মহানবীর (স.) সময়ে কুরআনের লিপিতে এগুলো ছিলনা। উমাইয়া খলিফা মারওয়ানের সময়ে মক্কার প্রশাসক হাজ্জাজ বিন ইউসুফ সাকাফি(৬৬১-৭১৪ ইসায়ি) অনারব ও আরবি ভাষায় অনভিজ্ঞ পাঠকদের সুবিধার্থে কুরআনে জের-জবর-পেশ প্রয়োগ করার ব্যবস্থা করেন। সে সময় বিখ্যাত ব্যাকরণবিদ খলিল ইবনে আহমদ সিরিয় লিপি থেকে স্বরচিহ্নগুলো সংগ্রহ করে কুরআনে প্রয়োগ করেন।
এছাড়া উভয় ছবিতে ব্যবহৃত ক্যালিগ্রাফি লিপিটি মাগরেবি কুফি বা আন্দালুসিয়ান কুফি। পশ্চিম আফ্রিকায় এই লিপিটি ১২-১৩ শতকে কুরআনের লিপি হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করে।বর্তমানেও এই লিপিতে সেখানে ক্যালিগ্রাফি করা হয়। এলিপিতে হরফের রেখাগুলো নমনীয় এবং হরফের শেষাংশ ক্রমশ চিকন হয়ে নেমে যায়। হরফের শুরুটা মোটা বৃত্তাকার বা গোলায়িত হয়।নোকতা-জের-জবর-পেশ-শাদ্দাহ স্পষ্ট এবং আয়াত শেষে ত্রিকোণাকার (মুসাল্লাস) লতা বা পেঁচানো দড়ির মত নকশা থাকে।
সুতরাং এটি নিউজের সাথে সংগতিপূর্ণ ছবি নয়। নেটে সার্চ দিয়ে আসল ছবি পাওয়া গেল। সেখানে কার্বন -১৪ ডেটিং-এর জন্য প্রাচীন ঐ গ্রন্থটির একটি ছবি দেয়া আছে।(নমুনা-১)
আলোচিত হেজাজি মায়েল কুফি লিপির কুরআন


উল্লেখ্য, জার্মানির বার্লিন স্টেট লাইব্রেরিতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর সময়কার লেখা পবিত্র কোরআনের কপির সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রায় শত বছর ধরে এটি এই লাইব্রেরিতে সবার অগোচরে পড়ে ছিল।
জুরিখের লাইব্রেরিতে বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ৯৫ শতাংশ নিশ্চিত হওয়া গেছে যে তিন পৃষ্ঠার চর্ম কাগজে কুফি লিপিতে লেখা নমুনাটি ৬৪৯ থেকে ৬৭৫ সালের মধ্যে হাতে লেখা হয়েছিল। তুবিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের “কুরানিকা প্রকল্পের” গবেষকগণ এটি নিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান চালান।
স্থানীয় একটি সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়, দীর্ঘমেয়াদী একটি প্রকল্পের আওতায় এটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। এজন্য ইউরোপের সমগ্র কোরআনের কপি যাচাই করে দেখা হয়।
বার্লিন লাইব্রেরিতে ১০০ বছর ধরে এই কপি সবার অলক্ষ্যে পড়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, মিশরীয় এক বিজ্ঞানী ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে অথবা বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে এটি জার্মানিতে নিয়ে আসেন।
গবেষকরা ধারণা করছেন, গ্রন্থটি মহানবী (স.) ওফাতের ২০-৪০ বছর পরে লেখা হয়েছে। মূল গ্রন্থের অংশবিশেষ এ গ্রন্থটি ১৫৪ পৃষ্ঠা সম্বলিত। সুরা বনি ইসরাইল(১৭)এর ৩৫ নং আয়াত থেকে সুরা ইয়াসিন(৩৬)এর ৫৬নং আয়াত পর্যন্ত আছে। এর লিপি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ‘হেজাজি মায়েল কুফী’ লিপিতে এটি লেখা হয়েছে। মূল লেখায় নোকতা-জের-জবর-পেশ ছিল না। পরে এতে সংযোজন করার আভাষ পাওয়া যায়। বিরামচিহ্ন হিসাবে গোলায়িত তিনটি নোকতা ত্রিকোণাকার আকারে দেয়া হয়েছে। গ্রন্থটির প্রতিটি পৃষ্ঠা আলাদা করে লিখে জুঝ বাধাই করে গ্রন্থবদ্ধ করা হয়েছে। এতে কোন পৃষ্ঠা নম্বর নেই। বর্তমানে কলমকে ৪৫ডিগ্রি কোনে কেটে লেখা হয় কিন্তু এই লিপির কলম ১৮০ ডিগ্রি কোনে কাটা হয়েছে এবং চাল পুড়িয়ে চিনি, নিশাত ও আরবি গাম(আঠা) মিশিয়ে হাতে তৈরি কালিতে এটি লেখা হয়েছে।তবে শব্দের মধ্যে কোথাও কোথাও যের-জবর বুঝানোর জন্য লাল কালির ফোটা হরফের উপর-নিচ খুব কাছে ব্যবহার করা হয়েছে।কোথাও একই কালিতে হরফের নোকতা খুবই ছোট ও প্রায় অষ্পষ্টাকারে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কুরআনের লিপি হিসেবে প্রথমদিকে কুফি লিপির স্থানীয় নাম যেমন-হেজাজি, মক্কী, মাদানী ব্যবহৃত হত, তেমনি এর লেখন বৈশিষ্ট্য হিসেবে জযম, মাশ্ক, মায়েল(আইটালিক) নামকরণ করা হত। এই কুফি লিপিতে প্রায় ৩শ বছর কুরআন অনুলিপি করা হয়। পরবর্তী ৩শ বছর মুহাক্কাক লিপিতে কুরআনের অনুলিপি করা হয়। এরপর রায়হানী লিপি তেমন ব্যবহার হয়নি, রায়হানি লিপির কয়েকটি কুরআনের কপির কথা জানা যায়।তারপর তুরস্কের ক্যালিগ্রাফারগণ নাসখি লিপি কুরআন অনুলিপিতে ব্যবহার শুরু করেন এবং এটি এখন পর্যন্ত কুরআনের লিপি হিসেবে টিকে আছে।
ইরানে ইসলামের বিজয়ের পর ইরানের ক্যালিগ্রাফারগণ প্রথমদিকে কুফি লিপিতে কুরআন অনুলিপি করেন। ক্রমশ এটি এত উন্নতি লাভ করে যে, কারামাতিয়ান কুফির নাম জগদ্বিখ্যাত হয়ে যায়। তারপর নাশখ এবং তালিক লিপির সমন্বয় করে ‘নাশতালিক’ লিপি নামে একটি লিপি আবিস্কার হয়। ইরানের ক্যালিগ্রাফারগণ নাশতালিক লিপিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কুরআন অনুলিপিতে এর ব্যবহার অব্যাহত রাখেন। তবে ইরানের বাইরে এই লিপির কুরআন তেমন একটা নজরে পড়ে না।
পশ্চিম আফ্রিকায় কুফি লিপি স্থানীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়ে মাগরেবি লিপি, আন্দালুসিয়ান কুফি, কাইরোয়ান কুফি ইত্যাদি স্থাননামে এবং মাবসুত, মাগরেবি সুলুস, মাগরেবি নাসখী নামে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লিপিতে কুরআন লিপিবদ্ধ করা হয়।
চীন-জাপানে চিনি লিপি নামে নাশখী লিপির পরিবর্তিতরূপে কুরআন অনুলিপি করা হয়।
ভারত উপমহাদেশে তুর্ক-আফগানদের পৃষ্ঠপোষকতায় কুফি, নাসখি লিপির কুরআন প্রথম পর্যায়ে করা হত। পরে বিহারের ক্যালিগ্রাফার এবং সমুদ্রপথে আগত মিশর-সানআ, হেজাজের ক্যালিগ্রাফারগণ বাংলাদেশে বিহারি লিপি(নাশখি ও কুফি লিপির সমন্বয়) দিয়ে কুরআন অনুলিপি করেন। এটা সুলতানি আমলের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। অন্যদিকে গজনি ও কাশ্মিরের একদল ক্যালিগ্রাফার বাঙলার সালতানাত শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন এবং নাশখি লিপির চমৎকার নজরকাড়া কুরআন অনুলিপি করেন। লৌখনুতে রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লৌখনু নাসখি নামে একটি লিপিতে কুরআন অনুলিপি করা শুরু হয়। পরবর্তিতে এটি ‘হিন্দি নাশখী’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
লৌখনু ছাপা কুরআন, কুরআন কমপ্লেক্স, মদিনা মুনাওয়ারা, সৌদি আরব, ১৪২৮ হিজরি

১৮০০ সালের পর পশ্চিমবঙ্গ থেকে ইংরেজদের মাধ্যমে কুফি লিপির পরিবর্তিত নিম্নমানের একটি ফন্টসেট তৈরি করা হয় এবং এই টাইপসেট দিয়ে হাত কম্পোজে কুরআন ছাপা শুরু হয়। এটি আজও অব্যাহত আছে। এই লিপির কুরআনকে ‘কলিকাতা ছাপা’ কুরআন বলে।
কলকাতা ছাপা কুরআন

 এতে বাঙলার অধিকাংশ মানুষ অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে এতে হাতে লেখা কুরআনের ক্যালিগ্রাফিক বৈশিষ্ট্য ও নান্দনিক ভাব পাওয়া যায় না। তাছাড়া হাতেলেখা কুরআনের যে আধ্যাত্মিক আবেদন রয়েছে, তা থেকে বাঙলার জনগণ বঞ্চিত হয়েছে। অন্যদিকে কুরআন হিফজ করার জন্য মাদ্রাসাগুলোতে লৌখনু ক্যালিগ্রাফিক লিপির কুরআন ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কুরআন হিফজের জন্য কলিকাতা ছাপা কুরআনের ব্যবহারের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়না।
কুরআনে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার লিপি স্থান ও সময়কালের চিহ্ন বহন করে।ক্যালিগ্রাফিতে দক্ষ ব্যক্তিগণ সহজে এর পর্যালোচনা ও সঠিক বিষয় তুলে আনতে পারেন। শুধু আরবি জানলেই এটা করা যায় না। আর আরবিতে অনভিজ্ঞরা এতে ভুল করা স্বাভাবিক।আশার কথা হচ্ছে, বর্তমানে বাংলাদেশে কুরআনের আরবি ক্যালিগ্রাফির বিষয়ে প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়েছে এবং এবিষয়ে দক্ষ লোক তৈরি হচ্ছে। এবিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আরো এগিয়ে আসতে হবে এবং এতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন রয়েছে।

তথ্য সুত্র :

. THE RISE OF THE NORTH ARABIC SCRIPT AND ITS KURANIC DEVELOPMENT, WITH A FULL  DESCRIPTION OF THE KURAN MANUSCRIPTS IN THE ORIENTAL INSTITUTE.
THE UNIVERSITY OF CHICAGO PRESS, CHICAGO, ILLINOIS. JUNE 1939
. Hat Sanatindan (calligraphy) ismek husn-i-Hat Hocalari Karma Sergisi  2013 Turkey
. CALLIGRAPHIC ART IN SULTANATE ARCHITECTURE  Shah Muhammad Shafiqullah ASIATIC SOCIETY OF BANGLADESH First Published: February 2012
. ISLAMIC CALLIGRAPHY, ANNEMAIE SCHIMMEL
৫. কাওয়ায়িদুল খত অল কিতাবাহ ওয়া তাত্ববিকাতিহা, ড. খালেদ মাহমুদ মুহাম্মদ ইরফান, দারুল নাশরি দুআলি, সৌদি আরব,২০০৮
৬.আল খত আল আরাবি মিন খিলাল আল মাখতুতাত, এরাবিক ক্যালিগ্রাফি ইন ম্যানাসক্রিপ্ট, রিয়াদ, সৌদি আরব ১৯৮৬
৭. ইন্টারনেট

Comments

Popular posts from this blog

বাংলা ক্যালিগ্রাফি : অনুভব ও শৈলী

-মোহাম্মদ আবদুর রহীম মানুষ জীবনযাপনে বাহ্যিক প্রয়োজন পূরণের পরও মানসিক আনন্দলাভ বা আত্মপিয়াস মেটাতে কিছু দেখতে, শুনতে কিংবা ছুয়ে দেখতে চায়। তার সংস্কৃতির মধ্যে নিজকে প্রকাশ করতে কিংবা সৃজনশীল কিছু করে আনন্দ পেতে চায় এবং অন্যকে আনন্দ দিতে তার ইচ্ছে জাগে। সুতরাং বলা যায়, কোন জাতির সংস্কৃতির মধ্যে যে সৃজনশীল ও প্রতিভার পরিচয় আমরা দেখতে পাই, সেটাই শিল্পকলা।শিল্পকলার অতি প্রাচীন একটি শাখা হচ্ছে ক্যালিগ্রাফি।ক্যালিগ্রাফি শব্দটা ইংরেজি । এটা গ্রীক শব্দ ক্যালিগ্রাফিয়া থেকে এসেছে । গ্রীক শব্দ ক্যালোস এবং গ্রাফেইনের মিলিত রূপ ক্যালিগ্রাফিয়া । ক্যালোস = সুন্দর , আর গ্রাফেইন = লেখা । সুতরাং   ক্যালিগ্রাফির পরিচয় এভাবে দেয়া যেতে পারে -   হরফ বা টেকসট ব্যবহার করে চমৎকার লেখন শিল্পকে ক্যালিগ্রাফি বলে । বর্তমানে , এই আর্ট ফর্মকে বিভিন্ন দেশ , ভাষা এবং ধর্মের লোকেরা আনন্দচিত্তে গ্রহণ এবং চর্চা করে চলেছেন । পৃথিবীতে বিভিন্ন ভাষার হরফে ক্যালিগ্রাফি করা হয়েছে। আরবি, ইংরেজি, চীনা, জাপানী প্রভৃতি ভাষার হরফের ক্যালিগ্রাফি মানুষকে মোহিত ও আনন্দিত

বাংলা ভূখন্ডে ক্যালিগ্রাফির পদযাত্রায় শিলালিপির ভূমিকা

Muhaqqaq style -মোহাম্মদ আবদুর রহীম ক্যালিগ্রাফিকে শুধুমাত্র 'হাতের লেখা' বলে পরিচয় দিলে অসম্পূর্ণ থেকে যায় এর অর্থ। 'সুন্দর হাতের লেখা' বললে আক্ষরিক অর্থ বলা হয়। আরব সিভিলাইজেশন প্রবন্ধে বলা হয়েছে- আরবি লিপিকলা প্রবহমান নকশা এবং জটিল জ্যামিতিক ডিজাইনের সমন্বয়। এই নান্দনিক লিপিকলা সম্পর্কে আলেকজান্দ্রিয়ার দার্শনিক ও গণিতের জনক ইউক্লিদ বলেন, "একটি 'আধ্যাত্মিক কৌশল' হিসেবে ক্যালিগ্রাফিকে গত ১৩শত বছর ধরে আরবদের কলম শুধু বিশুদ্ধ এবং সমৃদ্ধ করেছে।" আসলে ক্যালিগ্রাফি হচ্ছে লিপিকলা বা লিপি দিয়ে যে শিল্পকর্ম করা হয়। বাংলা ভূখন্ডে প্রাচীন কাল থেকে যারা শাসন করেছেন, তারা সুবিধামত একটি ভাষাকে রাজভাষা করেছেন এবং নথিপত্রে তা ব্যবহার করেছেন, জনসাধারণের সাথে সংযোগের ক্ষেত্রে এভাষায় জনহীতকর কাজের পরিচিতি ফলক বানিয়েছেন। প্রাচীনকাল থেকে এ অঞ্চলে পাথরে, তাম্র ফলকে এর নিদর্শন দেখা যায়। কাগজ বা টেকসইবিহীন মাধ্যমে এই নিদর্শন পাওয়া দুষ্কর। একটা মজার বিষয় হচ্ছে, ক্যালিগ্রাফির সত্যিকার পদযাত্রা নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে প্রাচীন নিদর্শন খুজতে গিয়ে ১২০৬ সালে (১

Sulus Lipisaili (khatt al-sulus) PDF book

   Sulus Lipisaili book PDF