Skip to main content

Posts

Showing posts from July, 2013

ইসমাইল গুলজী : ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিংয়ের পথিকৃৎ

Catalog cover of Gulgee painting calligraphy ২০০৬ সালের মার্চ মাস। ঢাকায় এশিয়ান বিয়েনাল চলছে। জাদুঘরের মহাপরিচালক মাহমুদুল হক বললেন গুলজীর অসাধারণ ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিংয়ের কথা। ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিংয়ে রঙ ও রেখার যে আশ্চর্য সম্মিলন, তা তিনি নিদর্শন হিসেবে আমাদের সামনে রেখে গেছেন। গুলজীর সাথে সাক্ষাতের জন্য শিল্পকলায় গেলাম। অনুষ্ঠান শেষে হোটেল পূর্বানীতে তিনি কথা বলতে রাজি হলেন। Ismail Gulgee and Mohammad Abdur Rahim, Hotel Purbani lobby, Dhaka, March 2006 তিনি জানালেন, ক্যালিগ্রাফি তাকে আধ্যাত্মিকতার অনুভব এনে দেয়। ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিং করার সময় একধরণের অলৌকিক আবেশ বোধ করেন। বিশেষ করে সোনালী-রুপালী রংয়ের ভেতর ইসলামিক ঐতিহ্য এবং একটি রাজকীয় ভাব থাকায় তার ক্যালিগ্রাফিতে রঙগুলো স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করেছেন। Calligraphy Painting, Allahu Akbar গুলজীর পেইন্টিংয়ে একটি রহস্যময়তা দর্শককে আবিষ্ট করে। যেন এর হরফগুলো নাচছে, দৃষ্টির পিপাসা ক্রমশ ঘুরে বেড়ায় পেইন্টিংজুড়ে আর সৌন্দর্যসুধা পান করে। বাংলাদেশের ক্যালিগ্রাফির সম্পর্কে তিনি উচ্ছাস প্রকাশ করে বলেন, অচিরেই বাংলাদেশের ক্যালি

প্রাচীন বাঙালায় ক্যালিগ্রাফি

-মোহাম্মদআবদুর রহীম সুন্দরের প্রতি মানুষের আকর্ষণ হচ্ছে একটি স্বভাবগত বিষয়। সভ্যতার বিকাশের ধারায় মানুষের রুচিবোধের মাত্রার পরিবর্তন হয়। খাদ্যাভাস, পোষাক, আবহাওয়া, ভৌগলিক অবস্থান প্রভৃতি মানুষকে বৈশিষ্ট্যগত প্রভাব ও জীবনধারা চয়নে পাল্টে ফেলে। সৌন্দর্যবোধকে শুধু নিজের জন্য নয়, উত্তর-পুরুষের জন্য নিদর্শন স্বরূপ রেখে যেতে যে প্রয়াস দেখা যায়, ক্যালিগ্রাফি তার ভেতর একটি অন্যতম মাধ্যম। এটি একাধারে উন্নত রুচিবোধ এবং তথ্যের সমাহারসহ সৌন্দর্য্যের আকর হিসেবে বিবেচিত হয়। বাঙালা ভূখণ্ডের প্রাচীন নিদর্শন, বিশেষ করে ক্যালিগ্রাফির যে নমুনা পাওয়া যায় তা হাজার বছরের পুরনো। গবেষকগণ প্রাচীন বাঙালা বলে যে ভূখণ্ডকে চিহ্নিত করেছেন, সেটা বর্তমান বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল তথা পদ্মার দক্ষিণ পাড় থেকে সুন্দরবন অঞ্চল পর্যন্ত এলাকা। বাঙালার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে, চট্টগ্রামকে বেংগাল বলে উল্লেখ করেছেন প্রাচীন ইউরোপীয় ভূগোল গবেষকরা। তবে ইসলাম পূর্ব সময়ে আরবরা সমূদ্র পথে ব্যবসায়-রুট হিসেবে বর্তমান বঙ্গোপসাগরকে বাহর আল হারাকান্দ বলে উল্লেখ করেছেন এবং সুন্দরবন অঞ্চলকে ‘বাঙালা’ বলে তাদের নথিপত্রে লিখে গেছেন। চন্দ্ররাজাদের