Skip to main content

Five calligraphy books of Mohammad Abdur Rahim

ক্যালিগ্রাফি নিয়ে শিল্পী আব্দুর রহীমের পাঁচটি বই

 জুলাই ২৪, ২০২০ ৩:২৬ এএম

মােহাম্মদ আবদুর রহীম। একজন শিল্পী, গ্রন্থকার, গবেষক ও ক্যালিগ্রাফার। তিনি ক্যালিগ্রাফি সােসাইটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। ১৯৮০ সাল থেকে নিয়মিত ক্যালিগ্রাফি করছেন। ওস্তাদ শহীদুল্লাহ এফ, বারীর নিকট ক্যালিগ্রাফির ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে সনদ অর্জন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্যালিগ্রাফি বিষয়ে এমফিল ডিগ্রি অর্জনের পর একই বিষয়ে পিএইচডি করছেন।   

দেশে-বিদেশে তার ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শিত হয়েছে। ঢাকা, গাজীপুর,  চট্টগ্রাম ও মুন্সিগঞ্জে তিনি মসজিদে, ধর্মীয় ইমারতে ক্যালিগ্রাফি করেছেন, এই স্থাপত্য ক্যালিগ্রাফি তার একটি উল্লেখযােগ্য কাজ । তিনি ক্যালিগ্রাফি সােসাইটির ক্যালিগ্রাফি কোর্সের অন্যতম প্রশিক্ষক ও বাংলাদেশ ক্যালিগ্রাফি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও অনলাইন ক্যালিগ্রাফি প্রশিক্ষক। এছাড়া তিনি দৈনিক সংগ্রামের সাব-এডিটর।

ক্যালিগ্রাফি শিল্পী ও গবেষক আবদুর রহীম ক্যালিগ্রাফি শিক্ষার্থীদের জন্য লিখেছেন আরো বেশ কটি বই। সেখান থেকে পাঁচটি বইয়ের সন্ধান পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।



১. খত মো‘য়াল্লা (Calligraphy Mo`alla)
ক্যালিগ্রাফি ও রচনা- মোহাম্মদ আবদুর রহীম
প্রকাশকাল : ২০০৯

২০০৯ সালে লেখক প্রথম বইটি প্রকাশ হয়। এটি সম্পূর্ণ হাতে লেখা একটি ক্যালিগ্রাফি বই। আরবি ক্যালিগ্রাফির নব আবিস্কৃত এই লিপিটি ইরানের হামিদ আল আযামী চুড়ান্ত শৈলীতে উন্নীত করেন। ২০০৯ সালে ইরান সফর কালে লেখক মোহাম্মদ আবদুর রহীম একরাতে এ বইটি তৈরি করেন। বইটিতে একক হরফ, যুক্ত হরফ এবং বাক্য ও ক্যালিগ্রাফি উপস্থাপন করা হয়েছে। সবই বাশের কঞ্চি দিয়ে বানানো ক্যালিগ্রাফি কলম দিয়ে লেখা ও অলঙ্করণ করা হয়েছে।


২. সুলুস লিপিশৈলী (ব্যবহারিক)
গবেষণা ও রচনায়- মোহাম্মদ আবদুর রহীম
প্রথম প্রকাশ- আগস্ট ২০১০
প্রকাশনায়- বাংলাদেশ ক্যালিগ্রাফি ফাউন্ডেশন, ঢাকা
যোগাযোগ- ০১৮১৯৬৭৬০২৭
মূল্য- ৪৫০ টাকা

ট্রেডিশনাল ক্যালিগ্রাফির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লিপি হচ্ছে সুলস লিপিশৈলী। বাংলাদেশে ক্যালিগ্রাফি হাতে-কলমে শেখার বই বলতে গেলে হাতে গোণা। দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্যালিগ্রাফার মোহাম্মদ আবদুর রহীম সুলস লিপিকে অত্যন্ত সহজ ও সুন্দর পদ্ধতিতে শিখিয়ে থাকেন। এ লিপি শেখার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর একটি বই।


৩. ইসলামী ক্যালিগ্রাফি
লেখক- মোহাম্মদ আবদুর রহীম
প্রথম প্রকাশ- অক্টোবর ২০০২
প্রকাশনায়- যোগাযোগ পাবলিশার্স, ঢাকা
যোগাযোগ- ০১৮১৯৬৭৬০২৭
মূল্য- ১৫০ টাকা

ক্যালিগ্রাফির গুরুত্বপূর্ণ একটি বই হচ্ছে- ইসলামী ক্যালিগ্রাফি। বাংলাদেশে ক্যালিগ্রাফি নিয়ে এটি প্রথম মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ। আরবি লিপির আদ্যপান্ত ইতিহাস সংক্ষেপে এতে চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বইটি এখন ক্যালিগ্রাফি ফাউন্ডেশন থেকে পাওয়া যাচ্ছে।


৪. সহজ ও সুন্দর আরবী ক্যালিগ্রাফি (নাসখী লিপি)
টেকসট ও ক্যালিগ্রাফি- মোহাম্মদ আবদুর রহীম
প্রথম প্রকাশ- বইমেলা ২০০৫
প্রকাশনায়- ঝিঙেফুল, ঢাকা
যোগাযোগ- ০১৮১৯৬৭৬০২৭
মূল্য- ১৫০ টাকা

আরবি ক্যালিগ্রাফির একটি গুরুত্বপূর্ণ লিপির নাম নাসখী। এ লিপিতে কুরআন লেখা হয়ে থাকে। কুরআনের লিপির বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা এবং তথ্য সমৃদ্ধ একটি বই আপনি সংগ্রহ করতে চাইলে “সহজ ও সুন্দর আরবী ক্যালিগ্রাফি নাসখী লিপি” আপনি সংগ্রহ করতে পারেন। এতে আরবি নাসখী লিপির আদ্যপান্ত ইতিহাস সংক্ষেপে এতে চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বইটি এখন ক্যালিগ্রাফি ফাউন্ডেশন থেকে পাওয়া যাচ্ছে।


৫. The Splendour of Sulus Calligraphy
মোহাম্মদ আব্দুর রহীম
প্রথম প্রকাশ: ২০১৫
প্রকাশনী: বাংলাদেশ ক্যালিগ্রাফি ফাউন্ডেশন
মূল্য : ৫০০

বইটিতে ক্যালিগ্রাফির সুলুস রীতির বিস্তর বর্ণনা রয়েছে। মূলত বইটি ক্যালিগ্রাফির উচ্চতর শিক্ষার্থীর জন্য লেখক রচনা করেছেন।


Comments

Popular posts from this blog

বাংলা ক্যালিগ্রাফি : অনুভব ও শৈলী

-মোহাম্মদ আবদুর রহীম মানুষ জীবনযাপনে বাহ্যিক প্রয়োজন পূরণের পরও মানসিক আনন্দলাভ বা আত্মপিয়াস মেটাতে কিছু দেখতে, শুনতে কিংবা ছুয়ে দেখতে চায়। তার সংস্কৃতির মধ্যে নিজকে প্রকাশ করতে কিংবা সৃজনশীল কিছু করে আনন্দ পেতে চায় এবং অন্যকে আনন্দ দিতে তার ইচ্ছে জাগে। সুতরাং বলা যায়, কোন জাতির সংস্কৃতির মধ্যে যে সৃজনশীল ও প্রতিভার পরিচয় আমরা দেখতে পাই, সেটাই শিল্পকলা।শিল্পকলার অতি প্রাচীন একটি শাখা হচ্ছে ক্যালিগ্রাফি।ক্যালিগ্রাফি শব্দটা ইংরেজি । এটা গ্রীক শব্দ ক্যালিগ্রাফিয়া থেকে এসেছে । গ্রীক শব্দ ক্যালোস এবং গ্রাফেইনের মিলিত রূপ ক্যালিগ্রাফিয়া । ক্যালোস = সুন্দর , আর গ্রাফেইন = লেখা । সুতরাং   ক্যালিগ্রাফির পরিচয় এভাবে দেয়া যেতে পারে -   হরফ বা টেকসট ব্যবহার করে চমৎকার লেখন শিল্পকে ক্যালিগ্রাফি বলে । বর্তমানে , এই আর্ট ফর্মকে বিভিন্ন দেশ , ভাষা এবং ধর্মের লোকেরা আনন্দচিত্তে গ্রহণ এবং চর্চা করে চলেছেন । পৃথিবীতে বিভিন্ন ভাষার হরফে ক্যালিগ্রাফি করা হয়েছে। আরবি, ইংরেজি, চীনা, জাপানী প্রভৃতি ভাষার হরফের ক্যালিগ্রাফি মানুষকে মোহিত ও আনন্দিত

বাংলা ভূখন্ডে ক্যালিগ্রাফির পদযাত্রায় শিলালিপির ভূমিকা

Muhaqqaq style -মোহাম্মদ আবদুর রহীম ক্যালিগ্রাফিকে শুধুমাত্র 'হাতের লেখা' বলে পরিচয় দিলে অসম্পূর্ণ থেকে যায় এর অর্থ। 'সুন্দর হাতের লেখা' বললে আক্ষরিক অর্থ বলা হয়। আরব সিভিলাইজেশন প্রবন্ধে বলা হয়েছে- আরবি লিপিকলা প্রবহমান নকশা এবং জটিল জ্যামিতিক ডিজাইনের সমন্বয়। এই নান্দনিক লিপিকলা সম্পর্কে আলেকজান্দ্রিয়ার দার্শনিক ও গণিতের জনক ইউক্লিদ বলেন, "একটি 'আধ্যাত্মিক কৌশল' হিসেবে ক্যালিগ্রাফিকে গত ১৩শত বছর ধরে আরবদের কলম শুধু বিশুদ্ধ এবং সমৃদ্ধ করেছে।" আসলে ক্যালিগ্রাফি হচ্ছে লিপিকলা বা লিপি দিয়ে যে শিল্পকর্ম করা হয়। বাংলা ভূখন্ডে প্রাচীন কাল থেকে যারা শাসন করেছেন, তারা সুবিধামত একটি ভাষাকে রাজভাষা করেছেন এবং নথিপত্রে তা ব্যবহার করেছেন, জনসাধারণের সাথে সংযোগের ক্ষেত্রে এভাষায় জনহীতকর কাজের পরিচিতি ফলক বানিয়েছেন। প্রাচীনকাল থেকে এ অঞ্চলে পাথরে, তাম্র ফলকে এর নিদর্শন দেখা যায়। কাগজ বা টেকসইবিহীন মাধ্যমে এই নিদর্শন পাওয়া দুষ্কর। একটা মজার বিষয় হচ্ছে, ক্যালিগ্রাফির সত্যিকার পদযাত্রা নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে প্রাচীন নিদর্শন খুজতে গিয়ে ১২০৬ সালে (১

Sulus Lipisaili (khatt al-sulus) PDF book

   Sulus Lipisaili book PDF